আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই অনেক বেশি ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ পাকের অশেষ কৃপা ও আপনাদের দোয়ায় অনেক বেশি ভালো আছি। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস ইন বাংলাদেশ এই বিষয় নিয়ে।
ব্লুটুথ হেডফোন কেনার জন্য আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন আছে যারা কিনা এই ব্লুটুথ হেডফোনের সঠিক দাম জানে না। আর তারা অনলাইনে এসে এভাবে সার্চ করে তাকে যে, ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস ইন বাংলাদেশ বা ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস এভাবেও সার্চ করা সহ আরো বিভিন্নভাবে সার্চ করে থাকে। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে ব্লুটুথ হেডফোনের বাংলাদেশ প্রাইস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলাদেশের যে সমস্ত ব্র্যান্ডের ব্লুটুথ রয়েছে সমস্ত ব্র্যান্ডগুলোর দামই আমি আপনাদের সাথে উল্লেখ করবো। আশা করছি ব্লুটুথ সম্পর্কিত আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনি পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি ব্লুটুথ হেডফোনের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
M10 ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বন্ধুরা প্রথমে আমরা যে ইয়ারবার্ডস হেডফোনের দাম আলোচনা করব সেটি হচ্ছে M10 এই মডেলের হেডফোনটি বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় এবং পপুলার একটি হেডফোন। এবং প্রত্যেকের হাতেই মোটামুটি এই M10 মডেলের হেডফোনটি দেখা যাচ্ছে, তো বন্ধুরা M10 মডেলের হেডফোনটির দাম হচ্ছে মাত্র ৪৯৯ টাকা অর্থাৎ আপনি ৫০০ টাকার ভিতরেই ওরজিনিয়াল M10 হেডফোনটি ক্রয় করতে পারবেন। এই হেডফোনটির ভালোর দিকগুলো হচ্ছে যে আপনি একবার চার্জ দিয়ে সারাদিন বেকাপ পাবেন ইনশাল্লাহ, এছাড়াও এই হেডফোনটি হচ্ছে পাওয়ার ব্যাংক সিস্টেমের, আপনি একাধিকবার আপনার হেডফোনগুলো কে চার্জ করে নিতে পারবেন এমনকি আপনার হাতের মোবাইল কেউ এটার মাধ্যমে চার্জ করতে পারবেন।
M20 ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস ইন বাংলাদেশ
এই মডেলটি হচ্ছে মোটামুটি একটি ভালো মডেল। এবং এই M20 মডেলটির মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে ENC নয়েস ক্যান্সেল সহকারে মোটামুটি ফিটফাট ভাবেই তৈরি করা হয়েছে এই হেডফোনটি। সেই সাথে আগেরটা নেই আপনি এখানে পেয়ে যাবেন ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক ভালো এবং আলাদা ভাবেও এখান থেকে চার্জ করা যাবে মোবাইল ফোন। তো M20 ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস ৭৫০ টাকা, আপনার চাইলে ৭৫০ টাকা দিয়ে এই অসাধারণ ইয়ার বার্ডস এর হেডফোনটি ক্রয় করতে পারেন।
M35 ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস
এই হেডফোনটি হচ্ছে সাধারণত ইয়ার বার্ডস ছাড়া, যারা ইয়ার বার্ড ছাড়া হেডফোন পছন্দ করেন তাদের জন্য মূলত M35 এই হেডফোনটি। হেডফোনটির মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন খুবই ভালো চার্জিং ব্যাকআপ এবং এই হেডফোনটির কালার হচ্ছে কাট কালার। এই হেডফোনটি সাধারণত কাঠপোকার মত দেখা যায় এবং কালার ঠিও দেওয়া হয়েছে কাট কালারের। তো আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী এই হেডফোনটিও আপনার কিনতে পারেন। M35 ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস ১১০০ টাকা, তবে অনেক সময় দেখা যায় অনেক দোকানে অফার অনুযায়ী এক হাজার টাকা দিয়েও বিক্রি করতেছে।
QCI ব্র্যান্ডের T12 হেডফোন প্রাইস
আপনারা অনেকেই হয়তোবা জানেন যে, QCI ব্র্যান্ডের হেডফোনগুলো সাধারণত অনেক ভালো হয়ে থাকে। তো এখন যে হেডফোনটির কথা আমি বলতেছি সেটা হচ্ছে খুবই ছোট এয়ার বার্ড এর একটি হেডফোন, এটির মডেল হচ্ছে T12। তো QCI ব্র্যান্ডের T12 হেডফোন প্রাইস হচ্ছে ২২০০ টাকা। এবং এই হেডফোনটির মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে 400 এম্পিয়ারের ব্যাটারি, তো বুঝতেই পারতেছেন অবশ্যই আপনি ব্যাটারি ব্যাকআপ খুবই ভালো পাবেন এবং খুব অনায়াসে আপনি দুই বছর ব্যবহার করতে পারবেন।
QCI ব্র্যান্ডের আরেকটি হেডফোন যার নাম হচ্ছে মেলু বারস, হেডফোনটি আপনি কিনতে পারবেন ২৭০০ টাকার মধ্যে। বা কোন কোন দোকানের মধ্যে ২৭০০ টাকার কম বেশিও হতে পারে।
Apple earpods pro হেডফোন প্রাইস
Apple earpods pro এটি খুব জনপ্রিয় একটি হেডফোন, এই হেডফোনটির মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে নয়েস ক্যান্সেল সহ বিভিন্ন অসাধারণ ফিচার। Apple earpods pro হেডফোন প্রাইস ১৮০০ টাকা, তো আপনারা চাইলে ১৮০০ টাকার মধ্যে Apple earpods pro এই হেডফোনটিও কিন্তু কিনতে পারেন।
ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
এছাড়াও লেনোভো স্যামসাং শাওমি এর মধ্যেও কম দামে অনেক হেডফোন রয়েছে। যেগুলা আপনার চাইলে অবশ্যই কিনে ব্যবহার করতে পারেন, যেমন আমিও samsung এর ইয়ারবাদ সহ একটা হেডফোন কিনেছি মাত্র 350 টাকায়, এবং এই হেডফোনটি আমি প্রায় ছয় মাসের অধিক সময় ধরে ব্যবহার করতেছি আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। তো যাদের বাজেট একেবারেই কম তারা কিন্তু samsung lenovo এবং শাওমির মধ্যে কম দামি যে হেডফোন গুলো আছে ওগুলা কিনতে পারেন।
তো এগুলোর দাম এক কম দেখে অনেকেই এটাকে বাজে বলে কিন্তু আসলে মূলত বিষয়টা এরকম না। আপনি কম দামের মধ্যেও একটা হেডফোন কিনে যদি ভাল বেনিফিট পান সেক্ষেত্রে আপনি কেন তার ভালোর দিকটা বলবেন না। যাদের বাজেট ভালো আছে তারা উপরে উল্লেখিত মডেল অনুযায়ী আপনাদের মন মত হেডফোন ক্রয় করতে পারেন আর যাদের বাজেট কম তারা অবশ্যই কম দামের হেডফোনগুলো কিনে ব্যবহার করতে পারেন আশা করি ভাল বেনিফিট পাবেন।
আরও পড়ুন:
শেষ কথা: ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
তো বন্ধুরা বলতে বলতে আমরা আজকের ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস এই আর্টিকেল এর শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। তো এই আর্টিকেলে ব্লুটুথ এর বিভিন্ন মডেল ও দাম আপনাদের সাথে উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি তো আশা করি সে নিজেই আপনারা খুব সহজেই ভালো হেডফোনটাকে ফাইন্ড আউট করতে পারবেন। তবে এখন বর্তমানে কথা হচ্ছে বাজারে সব কোয়ালিটির হেডফোনের মধ্যেই কপি হেডফোন বের হয়েছে। অর্থাৎ দেখতে সেইম একই রকম একই মডেলের বাট এর মধ্যেই একটা হেডফোন হচ্ছে কপি এবং একটা হেডফোন হচ্ছে অরিজিনাল।
তো আপনি যখন হেডফোন কিনবেন তখন অবশ্যই কপি এবং অরিজিনাল দুইটা ভালোভাবে দেখে যাচাই করে হেডফোন ক্রয় করবেন। তাছাড়া হেডফোন কিনার ক্ষেত্রে যদি আপনি দামি হেডফোন চয়েস করেন সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই এক বছরের গ্যারান্টি বা দুই বছরের গ্যারান্টি ওই রকমের চয়েজ করবেন। কেননা দামি হেডফোনগুলো যদি আপনি চয়েস করেন এবং এটার মধ্যে গ্যারান্টি না নেন সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বা দেখা যাবে আপনি ঠকে যাবেন। তো আশা করছি বিষয়গুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং হেডফোন কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই এই বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখবেন।
Tags:
ইলেকট্রনিক্স