পুরাতন টিনের দাম

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব পুরাতন টিনের দাম সম্পর্কে, কেননা পুরাতন টিনের দাম সম্পর্কে জানার জন্য অনেকে অনলাইনে বিভিন্নভাবে সার্চ করে বা খোঁজাখুঁজি করে। তো যারা পুরাতন টিনের দাম বা পুরাতন টিনের কেজি কত ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্যই আমার আজকে উক্ত আর্টিকেলটি। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি পুরাতন টিনের দাম সহ পুরাতন টিনের কেজি কত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তো যারা মূলত বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে চাচ্ছেন যেখানে পুরাতন টিন দিয়ে এই কাজটা পরিপূর্ণ হয়ে যাবে তারা মূলত পুরাতন টিন কিনতে পারেন। আবার অনেকেই গরুর গোয়াল বা বাড়ির পাশে পর্দার ব্যবহারের জন্য পুরাতন টিন ব্যবহার করতে পারেন। আর পুরাতন টিন মূলত মানুষেরা এইজন্যই কিনে যাতে করে তারা দামটা একটু সাশ্রয়ী পায়, কেননা বর্তমান নতুন টিনের দাম অনেক বেশি।

তো বন্ধুরা প্রত্যেক টিনের ফুট হিসেবে পুরাতন টিনের দামও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, দশ ফুটের এক বান অর্থাৎ সাতটি পুরাতন টিনের দাম হচ্ছে ৫০০০ টাকা, যা আপনি যদি নতুন কিনেন তাহলে আর দাম পড়বে প্রায় ১০ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা। আর আট ফুটের এক বান অর্থাৎ নয়টি পুরাতন টিনের দাম হচ্ছে চার হাজার পাঁচশ টাকা, যেটা নতুন কিনতে গেলে আপনার লাগবে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আবার আপনি যদি ১০ ফুটের কালারিং পুরাতন টিম কিনে সে ক্ষেত্রে প্রতি বানের মূল্য হবে ৬ হাজার টাকা, যা নতুন কিনতে গেলে আপনার প্রতি বানের দাম পড়বে ১২ হাজার টাকা।

আবার ৯ ফুটের আবুল খায়ের গরু মার্কার এক বান পুরাতন টিনের মূল্য হচ্ছে মাত্র ৫০০০ টাকা, অনুরূপভাবে সাত ফুটের এক বান পুরাতন টিনের মূল্য হচ্ছে ৪০০০ টাকা। তবে হা বন্ধুরা এই টিনগুলো যদি আপনারা ক্রয় করেন তাহলে কিন্তু আপনি যে কোন কাজে এই টিনগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ নতুন টিন দিয়ে আপনি যে সমস্ত কাজ করতে পারবেন ঠিক পুরাতন টিনগুলো দিয়েও আপনি সেই সমস্ত কাজ করতে পারবেন। পার্থক্য হচ্ছে শুধুমাত্র নতুন এবং পুরাতনের সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার দামটাও বিবেচনা করতে হবে যেমন নতুন টা কিনলে আপনার পুরাতন আর ছাড়ো অর্ধেক টাকা বেশি লাগবে।

পুরাতন টিনের কেজি কত

তো বন্ধুরা টিন কিন্তু আবার কেজি হিসেবেও বিক্রি হয়, তো যেই পুরাতন টিনটা দিয়ে আপনি নতুন টিনের কাজ চালাইতে পারবেন এরকম টিন যদি আপনি কেজি হিসেবে বিক্রি করেন তাহলে প্রতি কেজির পুরাতন দিনের মূল্য হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত। হঠাৎ ৯০ টাকার উপরে আবার ১১০ টাকার নিচে তার মধ্যে আপনি বিক্রি করতে পারবেন। তবে হা আপনি যদি পুরাতন টিন বিক্রি করেন এবং সেটা একেবারেই ব্যবহারের যোগ্য না হয় সে ক্ষেত্রে এটার দাম কিন্তু অনেকটাই কম, আর এরকম টিন সাধারণত মানুষেরা ভাঙ্গারি হিসেবে বিক্রি করে থাকে।

তো আপনি যদি ভাঙ্গারি হিসেবে পুরাতন টিন বিক্রি করতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পুরাতন টিনের মূল্য হচ্ছে 40 টাকা, অর্থাৎ আপনি প্রতি ১ কেজি টিনের এর জন্য ৪০ টাকা করে পাবেন।

পুরাতন টিন কোথায় পাওয়া যায়

তো বন্ধুরা পুরাতন টিন কোথায় পাওয়া যায় এটা নিয়েও অনেকে গুগলে খোঁজাখুঁজি করে, তো সাধারণত ব্যবহারযোগ্য পুরাতন যদি আপনি কিনতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি আশেপাশের লোকদের খোঁজ করবেন। কেননা অনেকেই টিনশেড বাড়ি বানানোর পর কয়েক বছর পর দেখা যায় বিক্রি করে ফেলে তো আপনি চাইলে সম্পূর্ণ বাড়ির টিনগুলো কিনতে পারেন। তো এভাবে পাওয়া সাধারণত মুশকিল হয়ে যায় সহজে এভাবে মানুষেরা টিনশেড বাড়ি বিক্রি করে না। এছাড়া আপনি যদি পুরাতন টিন কিনতে চান তাহলে অবশ্যই বাজারে যোগাযোগ করতে পারেন। কারণ বড় ভাঙ্গারি দোকানে অনেকেই পুরাতন টিন বিক্রি করে।

এছাড়াও গ্রামের মধ্যে হকাররা গিয়ে মানুষের বাড়ি থেকে পুরাতন টিন কিনে আনে, এবং তা তারা বাজারে এসে ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করে ফেলে। তো বন্ধুরা আপনারা চাইলে খুব সহজেই ভাঙ্গারির দোকান খোঁজ করে সেখান থেকে পুরাতন টিন সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পুরাতন জিনিস ক্রয় করতে পারেন। তবে হ্যা আপনি যদি এভাবে খোঁজ করে পুরাতন টিন কিনতে না পারেন তাহলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আপনি পুরাতন টিন কিনতে পারেন, তোমার না বর্তমান সময়ে এখন অনেকেই বাজারে ব্যবসা করার পাশাপাশি অনলাইনে পুরাতন টিনের ব্যবসা করতেছে তো সেখানে আপনার অর্ডার করলে পুরাতন টিন ক্রয় করতে পারবেন।

পুরাতন টিনের বাজার

তো বন্ধুরা কিশোরগঞ্জের ভৈরব ময়মনসিংহ রাজশাহী বরিশাল খুলনা সহ বিভিন্ন বিভাগেই বা বিভিন্ন জেলায় পুরাতন টিনের বাজার রয়েছে। তা আপনি কোন জেলা থেকে পুরাতন টিনের বাজার খোঁজ করতেছেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে, সাধারণত আমার জানামতে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলাতেই পুরাতন টিনের বাজার রয়েছে। আবার এমনও অনেক দোকান রয়েছে যারা নতুন টিন ক্রয় বিক্রয় করার পাশাপাশি পুরাতন টিনও ক্রয় বিক্রয় করতেছে, তো আপনারা চাইলে এভাবে যোগাযোগ করে পুরাতন কিনার বাজার খোঁজ করতে পারেন।

অনেকের মনে পুরাতন বা নতুন টিন যাই হোক না কেন তা সম্পর্কে আরও বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জাগে, তো তাদের কথা বা তাদের বিষয় লক্ষ্য করে আমি দ্বীন সম্পর্কিত কতগুলো প্রশ্ন উত্তর আপনাদের সাথে উল্লেখ করতে চাই, যেগুলো পড়লে আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন এবং টিন সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে পারবেন।

পুরাতন টিনের কেজি কত টাকা?

ব্যবহারযোগ্য পুরাতন টিনের কেজি হচ্ছে ১০০ টাকা, আর নিম্নমানের পুরাতন টিনের কেজি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

টিনের গুরুত্ব কেন?

টিনের ব্যবহার অনেক বেশি হওয়ার কারণে টিনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, যেমন আমাকে বসতবাড়ি গরুর গোয়াল বাড়ির বারান্দা সহ বিভিন্ন কাজে টিন ব্যবহার করা হয়।

মধ্যযুগে টিনের ব্যবহার কি ছিল?

মধ্যযুগে টিনের ব্যবহার থাকলেও এত বেশি প্রচলন ছিল না।

টিন কে আবিষ্কার করেন কবে?

টিন সাধারণত সেই আদি যুগ থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে, টিন সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেছেন এবং কবে আবিষ্কার করেছেন এটা সম্পর্কে আমরা জ্ঞাতনা, তবে হ্যাঁ আপনি যদি জানেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না।

19 শতকে টিন কেন এত মূল্যবান ছিল?

19 শতকে টিনের ব্যাবহার ছিল তবে কম, আর টিনশেড বাড়ি দেখতে সুন্দর ও দামে কম হওয়ার কারণে তখন এটা মূল্যবান ছিল।

টিন কে প্রথম ব্যবহার করেন?

যতটুকু জানতে পারলাম যে, পিটার ডুরান্ড নামক একজন ব্যবসায়ী তার প্রাথমিক ধারণার জন্য প্রথম টিন ব্যবহার করেন।

টিন এর ইংরেজি নাম কি?

টিন এর ইংরেজি নাম হলো (tin)

Tin এর বাংলা অর্থ কি?

Tin এর বাংলা অর্থ হচ্ছে (টিন)

১ বান টিন কয়টি?

ছয় ফুটের এক বান টিন হচ্ছে ১২ টি, সাত ফুটের এক বান টিন হচ্ছে ১০ টি, আট ফুটের এক বান টিন হচ্ছে ৯ টি, আর দশ ফুটের এক বান টিন হচ্ছে ৭ টি, অনুরূপভাবে টিন যত লম্বা হবে তত কম হবে, কারণ প্রতি বান টিনের মধ্যেই দেওয়া হয় ৭২ ফুট। অর্থাৎ তিন বড় হলেও দেওয়া হয় ৭২ ফুট এবং ছোট হলেই দেওয়া হয় ৭২ ফুট, যার কারণে টিন ছোট হলে সংখ্যায় বেশি হয় আর টিন বড় হলে সংখ্যায় কম হয়।